মোরাকাবা আরবি শব্দ। বাংলায় মোরাকাবা শব্দের অর্থ হচ্ছে নজরে রাখা, পর্যবেক্ষণ করা, ধ্যান করা ইত্যাদি। আরবি মোরাকাবা শব্দের প্রতিশব্দ হচ্ছে তাফাক্কুর। আরবি তাফাক্কুর শব্দের অর্থ গভীরভাবে চিন্তা করা। আর ইংরেজিতে মোরাকাবাকে মেডিটেশন (গবফরঃধঃরড়হ) বলা হয়। সাধারণ অর্থে জাহেরি দুই চোখ বন্ধ করে হৃদয় মাঝে ডুব দেওয়াকে ধ্যান বলে। ইসলামে সুফিবাদ তথা তাসাউফের ভাষায়, যে ধ্যান […]আরও পড়ুন
ফিচার
মহান রাব্বুল আলামিন জগতসমূহের সৃষ্টিকর্তা। তিনি আমাদের মহান স্রষ্টা। সকল সৃষ্টি মহান আল্লাহ্র ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমতো আবর্তন করে, আর তৃণলতা ও বৃক্ষ উভয়ই তাঁর অনুগত।” (সূরা আর রহমান ৫৫: আয়াত ৫-৬) পৃথিবীর সবকিছুই মহান আল্লাহ্র ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। মানুষকে সঠিক পথে তুলে আনার জন্য মহান […]আরও পড়ুন
কোরবানির সংজ্ঞাকোরবানি শব্দটির উৎপত্তি ‘ক্বুরবুন’ মূল শব্দ থেকে। কোরবানি অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, নৈকট্য লাভ করা, উৎসর্গ করা। যেহেতু মুসলমান ব্যক্তি তার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে প্রমাণ করে, সে সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহ্কে বেশি ভালোবাসে এবং এরই মাধ্যমে সে আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, এজন্য এ ইবাদতকে কোরবানি বলে। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট […]আরও পড়ুন
যাকাতের সংজ্ঞা যাকাত শব্দের অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা। যাকাত দানে যাকাতদাতার সম্পদ বাস্তবে কমে না, বরং বৃদ্ধি পায় এবং যাকাতদাতা কৃপণতার কলুষতা থেকে পবিত্রতা লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে সম্পদের যাকাত আদায় করলে সম্পদ পবিত্র হয় এবং এতে বরকত নাজিল হয়ে বৃদ্ধি পায়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ বলেন “খুয মিন আমওয়ালিহিম সাদাক্বাতান তুত্বাহহিরুহুম ওয়া তুঝাক্কীহিম বিহা ওয়া সাল্লি […]আরও পড়ুন
সারাবিশ্বে একই দিনে ইসলামি অনুষ্ঠান পালনের পদ্ধতি প্রণয়ন মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান [সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান রচিত ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী ধর্মীয় সংস্কার’ ১ম খণ্ড কিতাব থেকে লেখাটি সংকলন করা হয়েছে।-সম্পাদক] শেষ পর্ব ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে তিনি গণনা ভিত্তিক যে চান্দ্রপঞ্জিকা প্রবর্তন […]আরও পড়ুন
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া: আশুরা আরবি শব্দ, এর অর্থ দশম। মহররম মাসের দশম দিবসকে আশুরা বলা হয়। ইসলামের ইতিহাসে এ দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ্ আরশ, কুরছি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টি করে পবিত্র আশুরার দিনে প্রভু হিসেবে নিজে আরশে সমাসীন হয়েছেন। এ দিবসে মানব জাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা […]আরও পড়ুন
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া এ বিশ্বজাহানে যত মহান ব্যক্তির আগমন ঘটেছে, সততাই ছিল তাঁদের জীবনের মূল ভিত্তি। সততা বিহনে মিথ্যার উপরে প্রাচীর গড়ে কেউই মহান হতে পারেনি। মহান আল্লাহ্ প্রেরিত নবি-রাসুল এবং আউলিয়ায়ে কেরাম প্রত্যেকেই সত্য ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। তাঁরা সকলেই মিথ্যা, ধোকাবাজি, ছলচাতুরী এক কথায়, সকল প্রকার অসৎ কাজ থেকে মুক্ত ছিলেন। আমাদের […]আরও পড়ুন
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া(পর্ব-৩৬)সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ওফাতমহান আল্লাহর প্রিয় বন্ধু, মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২০ইং সোমবার ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে তাঁর কোটি কোটি ভক্ত ও মুরিদ সন্তানদেরকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে, ৭১ বছর […]আরও পড়ুন
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া(পর্ব-৩৩) কলকাতায় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের আসনে সূফী সম্রাটআল্লাহর প্রিয় হাবিব হযরত রাসুল (সা.)-এর বহু অলৌকিক মু‘জিজা ছিল, যা দেখে মুসলমানগণ যেমন আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন এবং বহু ইহুদি ও খ্রিষ্টান ইসলাম গ্রহণ করেছে। অনুরূপভাবে রাসুল (সা.)-এর উত্তরসূরি হিসেবে যে সকল অলী-আল্লাহ্ জগতে আবির্ভূত হয়েছেন, তাঁদেরও বহু অলৌকিক কারামত আছে। এক কথায় বলা যায় যে, […]আরও পড়ুন
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া (পর্ব-৩৪) পূর্ণিমার চাঁদে সূফী সম্রাটের চেহারা মোবারকের নুরানি প্রতিচ্ছবি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এই বিশ্বজাহান সৃষ্টি করে নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত ও গ্রহ-নক্ষত্ররাজি দ্বারা তা সুশোভিত করেছেন। আমাদের এই পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে সূর্য ও চন্দ্র। সূর্যের আলোতে পৃথিবীর সকল প্রাণী জীবন ধারণ করে এবং বেঁচে থাকে। পক্ষান্তরে চন্দ্রের কিরণ স্নিগ্ধ […]আরও পড়ুন